বাংলাদেশ জমি নিবন্ধনের খরচ ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এই খরচ কমাতে সরকার দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু গত ১৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে সরকার জমি নিবন্ধন খরচ কমানো সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই প্রজ্ঞাপনের ফলে জমি নিবন্ধন খরচ ৫০% পর্যন্ত কমেছে।
রাজস্ব কর্মকর্তাদের মতামত হলো বিগত দিনে যত জমি ক্রয় বিক্রয় করা হয়েছিল সব জমি নিবন্ধনে কর হার ছিল প্রায় একই। কিন্তু বর্তমানে মৌজার ভিত্তিতে শ্রেণীবিভাগ করে কর ধরা হয়েছে। এগুলোর কারণে জায়গাভেদে প্রতি এক কাঠায় সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা কর কমে গিয়েছে। রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন এই মৌজার কারণে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয় লাভবান হবেন।
প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জবি নিবন্ধনের খরচের হার নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে এর আগে জমি নিবন্ধনের খরচ ছিল বাজার মূল্যের ২%। নতুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই হার কমে ১% হয়েছে। এর পাশাপাশি জমি নিবন্ধনের খরচের মধ্যে ভূমি কর, রেজিস্ট্রেশন ফি, স্ট্যাম্প ডিউটি ও আইনগত খরচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জমি নিবন্ধনের খরচ কমানোয় জমির বাজার মূল্য কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে জমি ক্রয় এবং বিক্রয় সহজতর হবে এবং সাধারণ মানুষের জন্য জমি কেনা সম্ভব হবে। জমি নিবন্ধনের খরচ কমানো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের কিছু উল্লেখযোগ্য দিকঃ
- জমি নিবন্ধনের খরচের হার বাজার মূল্যের ২% থেকে কমে ১% হয়েছে।
- জমি নিবন্ধনের খরচের মধ্যে ভূমি কর, রেজিস্ট্রেশন ফি, স্ট্যাম্প ডিউটি ও আইনগত খরচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
- জমি নিবন্ধনের জন্য আবেদন পত্রের নমুনা ও ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
- জমি নিবন্ধনের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জরুরি নিবন্ধন খরচ কমানোয় যেসব ইতিবাচক দিকের প্রভাব ফেলতে পারে তা হলঃ
- জমির বাজার মূল্য কমে যাবে।
- জমি ক্রয় বিক্রয় সহজ হবে।
- সাধারণ মানুষের জন্য জমি কেনা সম্ভব হবে।
- জমি নিবন্ধনের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন হবে।
জমি নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক দিকের পাশাপাশি কিছু নেতিবাচক রয়েছে চলুন দেখে নেই নতুন এই আইনের মাধ্যমে জমি ক্রয় করলে কি কি নেতিবাচক ডিক রয়েছে।
- জমি নিবন্ধনের মাধ্যমে সরকারের আয় কমে যাবে।
- নতুন এই পদ্ধতিতে জমি নিবন্ধন করলে দুর্নীতি বাড়তে পারে।
জমি নিবন্ধনের খরচ কমানো একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপের ফলে জমির বাজার মূল্য কমে যাবে এবং জমি ক্রয় বিক্রয় সহজ হবে। তবে জমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি যাতে না হয় দুর্নীতি যাতে না হয় সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।