ভূমি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ। সবাই পুরনো পদ্ধতিতে জমি জরিপ করে থাকে। বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছিলেন যে, পুরনো পদ্ধতিতে যে সকল ভূমি জরিপ বাতিল করা হয়েছিল। এই ঘোষণার ফলে বর্তমানে দেশে চলমান সকল ভূমি জরিপ এবং ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হওয়ার সকল ভূমি জরিপ ডিজিটাল পদ্ধতিতে পুনরায় করা হবে।
পুরনো পদ্ধতিতে করা ভূমি জরিপের মধ্যে জমির পরিমাণ, মালিকানা এবং সীমানা নির্ধারণ করা হতো। এই পদ্ধতিতে জমি পরিমাপের ক্ষেত্রে ত্রুটি সম্ভাবনা ছিল। এছাড়াও এই পদ্ধতিতে জমির মালিকানা এবং সীমানা নির্ধারণে অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ ছিল।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা তুমি জরিপের মাধ্যমে জমির পরিমাণ, মালিকানা এবং সীমানা নির্ধারণ করা হয় এই পদ্ধতিতে জমি পরিমাপের ক্ষেত্রে ভুলত্রুটির সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। এছাড়াও, এই পদ্ধতিতে জমির মালিকানা এবং সীমানা নির্ধারণে অনিয়ম এবং দুর্নীতির সম্ভাবনা খুবই কম।
ভূমি মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের ফলে ভূমি ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হবে। এছাড়াও, ভূমি জটিলতা এবং বিরোধ কমাতে এই সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ভূমি জরিপের ইতিহাস বেশ পুরনো। 1988 সালের প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ভূমি জরিপ শুরু হয়। এই জরিপের নামকরণ করা হয় ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে বা সিএস জরিপ। সিএস জরিপের মাধ্যমে জমির পরিমাণ, মালিকানা এবং সীমানা নির্ধারণ করা হয়। সিএস জরিপের পর ধাপে ধাপে এসএ, পিএস, আরএস এবং বিএস জরিপ সম্পন্ন হয়।
সিএস জরিপের পরবর্তী জরিপগুলোতে সিএস জরিপের মান ধরে রাখা হয়নি। এছাড়াও এই জরিপগুলোতে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
ডিজিটাল ভূমি জরিপের অনেক সুবিধা রয়েছে এই পদ্ধতিতে জমি পরিমাপের ক্ষেত্রে ত্রুটির সম্ভাবনা খুবই কম। এছাড়াও এই পদ্ধতিতে জমির মালিকানা এবং সীমানা নির্ধারণে অনিয়ম এবং দুর্নীতির সম্ভাবনা খুবই কম। ডিজিটাল ভূমি জরিপের মাধ্যমে নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো অর্জন করা সম্ভব।
- জমির পরিমাণ, মালিকানা এবং সীমানার নির্ভুলতা বৃদ্ধি।
- ভূমি জটিলতা এবং বিরোধ কমানো।
- সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি।
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন তুরান্বিত করা।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্তের ফলে, ভূমি ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হবে। এছাড়াও ভুমি জটিলতা এবং বিরোধ কমাতে এই সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।